চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এক যুগের বেশি সময় ধরে এক্সরে মেশিন অচল

চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (ডানে), এক্সরে কক্ষ (বাঁয়ে)। ছবি : কালবেলা
চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (ডানে), এক্সরে কক্ষ (বাঁয়ে)। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে লাভবান হচ্ছে স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিক মালিকরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলায় হাসপাতালটি স্থাপনের পরেই একটি এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়। এক্সরে মেশিন এলেও দীর্ঘদিন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় তা চালু করা সম্ভব হয়নি। আবার ২০০৬-০৭ সালের দিকে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দেওয়া হলেও, কিছুদিন রোগীদের এক্সরে সেবা দেওয়ার পরে অচল হয়ে যায় মেশিনটি। এর কিছুদিন পরে সেই টেকনোলজিস্টকে অন্য হাসপাতালে বদলি করা হয়। তারপর থেকে এক্সরে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে আছে।

সর্বশেষ গত ৬ মাস আগে একজন টেকনোলজিস্ট জয়েন করলেও এক্সরে মেশিনটি সচল না থাকায় সেবা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী রোগীরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নীল কান্ত রায় বলেন, চিরিরবন্দর সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলাম বুকের এক্সরে করাতে। ডাক্তার কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলেন হাসপাতালের মেশিন নষ্ট, বাইরের ক্লিনিক থেকে রিপোর্ট করে আনতে। পরে বাইরের ক্লিনিক থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে করালাম। তাহলে সরকারি হাসপাতাল থেকে লাভ কী, যদি মেশিন ঠিক না থাকে।

চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম নেছা বলেন, সরকারি হাসপাতালে গেছিলাম হাতের ব্যথা নিয়ে। ডাক্তার বলে পরীক্ষা করাতে। কিন্তু ডাক্তার কয় হাসপাতালের মেশিন নষ্ট, বাইরে ক্লিনিকে যান পরীক্ষা করাতে। কয়েক মাস আগে আরেকবার হাতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আইছিলাম। তখনও শুনছি মেশিন নষ্ট।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফিক) নাজিবুল্লাহ বলেন, আমি ৬ মাস আগে এখানে জয়েন করেছি। শুনেছি আমি জয়েন করার আরও কয়েক বছর আগ থেকে এ এক্সরে মেশিনটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। আমি এসে প্রাথমিকভাবে ঠিক করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে পড়ে থাকায় এটি সচল করা সম্ভব হয়নি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. ভিসি পাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় এক্সরে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। হাসপাতালের ইনডোর আউটডোর মিলে গড়ে প্রায় প্রতিদিনে দিনে ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর এক্সরে করার প্রয়োজন হয়। এক্সরে মেশিনটি নষ্ট থাকায় ইমার্জেন্সিভাবে এক্সরে করা সম্ভব হয় না। বাইরে ক্লিনিক থেকে রোগীদের এক্সরে করে রিপোর্ট আনতে বলা হয়।

চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভির হাসনাত রবিন বলেন, হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি ১০ থেকে ১২ বছরের মতো অচল অবস্থায় পড়ে আছে। আমি জয়েন করার পরে এক্সরে মেশিনটি সচল করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (নিমিউ অ্যান্ড টিসিতে) চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। ৭ ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রণালয় থেকে এক্সরে মেশিনটি মেরামতের চিঠি পেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বন্যার পানিতে মায়ের লাশের সঙ্গে ভেসে এল শিশু

লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ, পিছু হঠল ইসরায়েলি বাহিনী

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজা কখন-কোথায়?

আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপি

সকালের মধ্যে দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

৫ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

আজও কি দিনভর সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে?

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

বিদ্যালয়ে কোনোরকম উচ্ছৃঙ্খলতা ছিল না

নারায়ণগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড় জব্দ

১০

ইদানীং শিক্ষকদের এক ধরনের হেয় করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে

১১

মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষা খুব জরুরি

১২

কক্সবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত

১৩

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বন্ধন সেটি ছিন্ন হয়ে গেছে

১৪

হত্যা মামলায় রসিকের সাবেক কাউন্সিলর মিলন গ্রেপ্তার

১৫

শিক্ষকদের শিক্ষাবাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

১৬

হুইলচেয়ারে বসেই আলো ছড়াচ্ছেন ফয়সাল

১৭

হেঁটে এক টাকায় জ্ঞান বিলিয়ে যাচ্ছেন লুৎফর রহমান

১৮

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন

১৯

ময়মনসিংহে মায়ের হাতে মেয়ে খুন

২০
X