রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অজানা ভাইরাসে ২ শিশুর মৃত্যুতে অনুসন্ধানে মাঠে আইইডিসিআর

দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আইইডিসিআরের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছে। ছবি : সংগৃহীত
দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আইইডিসিআরের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছে। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীতে অজানা ভাইরাসে দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। এ সময় তারা সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং শিশু দুটির বাবা মা এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে রাজশাহীর চারঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ ওই মেডিকেল তদন্ত টিমটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর নিপাহ আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি শিশুর পিতা মঞ্জুর রহমান ও মা পলি খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন। তারা মারা যাওয়া শিশু দুটি ও তাদের বাবা-মায়ের রোগের কেস হিস্ট্রির বিষয়ে শোনেন। এ ছাড়া তাদের পাকস্থলী থেকে সংগ্রহ করে রাখা নমুনা নিয়েছেন।

এ সময় রামেক হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরাও আইইডিসিয়ারের বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে কথা বলেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, মৃত দুই শিশু ও তার বাবা-মা আসলে কোনো অজানা রোগে আক্রান্ত কিনা তার সঠিক কারণ বের করা প্রয়োজন। তাই আইইডিসিআরের তিন সদস্য অধিকতর তদন্তের জন্য রাজশাহী এসেছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করতে তারা কাজ করছেন। ঢাকায় পাঠানো আগের নমুনাও পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া মৃত শিশুর পাকস্থলীর খাবারের নমুনা হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল। এই নমুনাও তারা সংগ্রহ করেছেন। এটি ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, খাবারে কোনো বিষক্রিয়া ছিল কিনা।

উল্লেখ্য, মারা যাওয়া শিশু দুটির বাবা মঞ্জুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক। পরিবার নিয়ে তিনি ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারে থাকেন। মারা যাওয়া দুই শিশুকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পাসের গাছতলা থেকে বরই কুড়িয়ে এনে খেতে দিয়েছিলেন গৃহকর্মী। ওগুলো খাওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ছোট মেয়ে ও শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বড় মেয়ের মৃত্যু হয়। তাদের জ্বর ও গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ ছিল এবং বমি করেছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে জিম্মি ঘটনার অবসান, ডাকাতদের আত্মসমর্পণ

তৃতীয় বাংলাদেশ সি স্যুট অ্যাওয়ার্ড ও ৮ম লিডারশিপ সামিট অনুষ্ঠিত

বিজেপি এমপিকে রক্তাক্ত করলেন রাহুল, পরিস্থিতি উত্তপ্ত

আ.লীগ নেতাকে দলে ভেড়ানো নিয়ে যুবদল-ছাত্রদলের সংঘর্ষ

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের

সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী হামলায় দুই সাংবাদিক আহত

‘আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না’

ভারতে স্পিডবোটের ধাক্কায় ফেরি ডুবে নিহত ১৩

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা

‘কড়াইল বস্তিতে বারবার অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা নয়’

১০

রাতারাতি বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা 

১১

আ.লীগ নেতার রগ কেটে দিল বিএনপি নেতারা

১২

শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বই কবে পৌঁছাতে পারে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৩

ভারত সরকারের প্রতি জামায়াত সেক্রেটারির আহ্বান

১৪

নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১৫

কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাত, ঘিরে রেখেছে র‍্যাব-পুলিশ

১৬

বাতিল প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

১৭

বিআরটিএকে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টার আলটিমেটাম

১৮

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাল বিএনপি

১৯

আসাদের পতন ঠেকাতে যে কারণে বড় পদক্ষেপ নেয়নি ইরান

২০
X