খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দিনাজপুরে ৬ গুণ লাভে রঙিন ফুলকপি চাষ

দিনাজপুরের খানসামায় রঙিন ফুলকপি ক্ষেত পরিদর্শনকালে কৃষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে অন্যান্য পরিদর্শকরা। ছবি : কালবেলা
দিনাজপুরের খানসামায় রঙিন ফুলকপি ক্ষেত পরিদর্শনকালে কৃষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে অন্যান্য পরিদর্শকরা। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপির চাষে লাভ হয়েছে ৬ গুণ। উপজেলার গোবিন্দপুরে ২০ শতক জমিতে সোনালি রঙের ফুলকপি চাষ করে এ লাভের মুখ দেখেছেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তিনি।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, খানসামা-দারোয়ানি আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে কৃষক আবুল কালাম আজাদের ক্ষেতে তাকালেই নজরে পড়ে সবুজ পাতায় মোড়ানো ফুলকপি। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলেই নজরে কাড়ে সবুজ পাতার মধ্যে সোনালি ফুলকপি। ইতোমধ্যেই তা ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

জানা যায়, সাদা ফুলকপির সঙ্গে সবাই পরিচিত হলেও উপজেলায় এবারই প্রথম চাষ করা হয়েছে রঙিন ফুলকপির। ভ্যান্টেলিনা জাতের রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন জাতের এ ফুলকপিগুলোর দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে বেশি। তবে দেখে মনে হতে পারে সাদা ফুলকপির ওপর রঙ দেওয়া হয়েছে। মূলত সোনালি রঙের ফুলকপির চাষ হয়েছে এবার। নতুন জাতের ফুলকপি দেখতে প্রতিদিন মানুষ ওই কৃষকের ক্ষেতে ভিড় করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে উচ্চমূল্যের নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষি বিভাগের বীজ, সার ও উপকরণ সহায়তায় নতুন জাতের এ রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। যা এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো চাষ।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রঙিন ফুলকপি ক্ষেত পরিদর্শন করেন দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রাকিবুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণ কুমার রায় ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পৃথ্বীরাজ রায়।

রঙিন ফুলকপি চাষি আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে বলেন, ২০ শতক জমি চাষে বীজ, সার ও পরিচর্যা বাবদ খরচ প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে এ জমির প্রায় ১৮০০-২০০০ পিস ফুলকপি বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ৩৮-৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। সেই সঙ্গে রঙিন এ ফুলকপি চাষে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার বেশি ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার কালবেলাকে বলেন, নতুন এ জাতের ফুলকপি পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। সেই সঙ্গে অল্প পুঁজিতে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন। এজন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ সার্বিক বিষয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছে।

দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রাকিবুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ জাত সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি বাজারে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি পাবে ভোক্তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি, সেই যুবলীগ নেতা মুছা গ্রেপ্তার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে যমুনা গ্রুপ

জনবল নেবে স্যামসাং বয়সসীমা  ২১ থেকে ২৮ বছর 

বায়ুদূষণে শীর্ষে হ্যানয়, ঢাকার খবর কী

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় ৭ জনের মৃত্যু

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

১০

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১১

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১২

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

১৩

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৪

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৫

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১৬

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

১৭

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৮

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

১৯

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

২০
X