ছুটির দিন শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।তবে মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সড়কে যানজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপশহরে বাংলাদেশ-চায়না এক্সিবিশন সেন্টারের স্থায়ী প্যাভিলিয়নে বসেছে মেলার ২৮ তম আসর। ভিড় এবং বিক্রি মিলিয়ে যেন মেলা আজ পূর্ণতা পেয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মেলার প্যাভিলিয়নের ভেতরে-বাইরে ক্রেতা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল স্টলগুলো। স্টলে থাকা লোকজন নানা রকম পণ্য হাতে দেখাচ্ছেন ক্রেতাদের। ক্রেতারা দেখছেন, পছন্দের পণ্য কিনছেন। আবার অনেকেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন মেলার স্টলে সাজানো পণ্য। বেচাকেনা বাড়ায় খুশি স্টল মালিকরা। তবে গাজীপুর হাইওয়ে বাইপাস সড়ক ও কুড়িল বিশ্বরোড ৩০০ ফিটের শেখ হাসিনা সরণী সড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।
নরসিংদী থেকে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর পরিবার নিয়ে মেলায় আসি। ছুটির দিন শুক্রবারে এবারও মেলায় এসেছি কেনাকাটা করতে। তবে নরসিংদী থেকে আসতে প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় গাড়িতেই পার করতে হয়েছে। আন্তর্জাতিকমানের মেলায় আসতে-যেতে যদি যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয়, তা মেনে নেওয়া যায় না।
আড়াইহাজার থেকে এসেছেন সবুজ খান। তিনি বলেন, মেলায় আসতে চরম যানজটে পড়তে হয়েছে। তারপরও ভালো লাগছে।
কথা হয় মেলার ক্রোকারিজ স্টল মালিক রায়হান মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, অন্যান্য শুক্রবারের চেয়ে বেচাকেনা বেড়েছে। তারপরও মনে হচ্ছে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
মনিকা ফ্যাশনের ইমাদ হোসেন বলেন, আগের ছুটির দিন থেকে বিক্রি বেড়েছে। তাও এবার বাণিজ্যমেলায় লোকসানে মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েই গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ও বাণিজ্যমেলার পরিচালক বিভেক সরকার বলেন, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী বেড়েছে। বেচাকেনাও বেড়েছে। মেলায় আগতদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদসরা তৎপর রয়েছেন।
মন্তব্য করুন