জামালপুরে শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুগ্রুপের দুজনের মাথা ফেটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার পর কলেজের ছাত্র হলে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে জামালপুর এবং আশপাশের জেলার ছাত্ররা মিলে স্থানীয় গ্রুপ এবং বাইরের অন্যান্য জেলার ছাত্ররা অপর একটা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন শামীম, অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন ফারদিন।
গতকাল রাতে ফারদিন গ্রুপের এক ছাত্রের রুমে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
তবে গ্রুপের বিষয়টি দুজনের কেউ-ই স্বীকার করতে না চাইলেও আহত শাকিল বলেন, স্থানীয় ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে বাইরে থেকে আসা ছাত্রদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে। সব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে তারা চাপ তৈরি করে।
শাকিল আরও বলেন, আমি হল ম্যানেজমেন্টের কমিটিতে আছি। স্থানীয় গ্রুপ আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তুচ্ছ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
অপর আহত ছাত্র শাকিব বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো ইস্যু নয়। কলেজের অভ্যন্তরীণ একটা বিষয় নিয়ে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে। তার মাথায় কে বা কারা আঘাত করেছে তা তিনি বলতে পারেন না।
গ্রুপের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রুপ নেই, তবে প্রতিযোগিতা আছে। শামীম এবং ফারদিনের মধ্যে একটা রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা আছে।
স্থানীয় গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা শামীম জানান, তেমন কিছু ঘটেনি। নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
দুজন ছাত্রের মাথা ফেটে যাওয়ার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সব জানানো হবে।
অপর গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা ফারদিন জানান, আমরা সবাই ব্যাচমেট এবং বন্ধু। কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা চলার সময় নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
জানা গেছে, শামীম এবং ফারদিন দুজনই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক প্রার্থী।
হলে মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে হল সুপার ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল সরকার বলেন, প্রিন্সিপাল স্যারের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে বলা যাবে কী ঘটেছে।
কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বজিৎ দাস বলেন, অভ্যন্তরীণ ঘটনায় ছাত্রদের মাঝে মারামারির ঘটনাটি শুনেছি। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় হল সুপারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলে পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন