মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেরপুরের একটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র আধা ঘণ্টা দেরিতে বিতরণ করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন। জেলা শহরের মডেল গার্লস ইনস্টিটিউট, শেরপুর কেন্দ্রের ২০১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. চাঁন মিয়া। ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
অভিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষক হলেন, মডেল গার্লস ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নাজির আহমেদ ও জঙ্গলদি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহাদাত হোসেন কনক।
সরেজমিন জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে মডেল গার্লস ইনস্টিটিউট, শেরপুর কেন্দ্রে ৫৯৭ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এই কেন্দ্রের ২০১ নম্বর কক্ষে চারজন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘প্রশ্নপত্র দিতেই ২২ মিনিট দেরি করা হয়। আবার ঠিক বেলা ১টায় উত্তরপত্র জমা নেন দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা।
পরীক্ষার্থীরা আরও বলে, ‘বিষয়টি কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে আমরা জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের চলে যেতে বলেন। এ ছাড়া কেন্দ্রে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা পরীক্ষা শেষে সময় বৃদ্ধির আবেদন করলেও আমাদের হাত থেকে খাতা টেনে নেওয়া হয়েছে।’
অভিভাবক আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমার মেয়ে এই কক্ষের পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের অব্যস্থাপনা এবং শিক্ষকদের অবহেলার জন্য অনেক জিপিএ-৫ ও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার মতো শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।’ তিনি অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন।
সাতানিপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও হল সুপার এমদাদুল হক বলেন, প্রশ্নপত্র খুলে সব কক্ষে পৌঁছাতে পাঁচ মিনিটের বেশি দেরি হওয়ার কথা নয়। কেন দেরি হলো আমিও বুঝতে পারছি না।’ তবে ঠিক ২২ মিনিট দেরি হয়নি বলে দাবি তার।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. চাঁন মিয়া বলেন, ‘প্রশ্নপত্র দেরিতে দেওয়া ঠিক হয়নি। এখানে শিক্ষকদের কারণে দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ পেলাম। এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয় বিকেলে তলব করেছেন। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন