নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আশরাফুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রায় ঘোষণার চার দিন পর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাবের মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম (৩৬) লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার মহিষখোচা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় সাইফুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত গার্মেন্টকর্মী লায়লা বেগম (৩০) শরিয়তপুর জেলার গোসাইর হাট থানার দক্ষিণ ছয়গাঁও গ্রামের আলাউদ্দিন মাতাব্বরের মেয়ে। তিনিও একই এলাকার রহমান টাওয়ারের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।
র্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ফরহাদ হোসেন শেখ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে লায়লা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আশরাফুল আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন। পলাতক আসামি আশরাফুল আলমকে গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ভিকটিম লায়লা বেগমকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাসায় ঢুকে ধর্ষণ করেন আশরাফুল আলম। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের মুখে কোল বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে ভিকটিমের ছোট ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী বাসায় এসে দেখেন খাটে নিহত লায়লার নগ্ন মরদেহ পড়ে আছে। তার মুখের কোল বালিশ চাপা দেওয়া।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মশিউর রহমান বাদী হয়ে আশরাফুলের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মন্তব্য করুন