মাদারীপুরে অধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ছোড়া গুলিতে এক অটোরিকশাচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুর শহরের পুরান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরে ছাত্রলীগের রাজনীতি দুইভাগে বিভক্ত। একাংশ বাহাউদ্দিন নাছিমের, অপর অংশ শাজাহান খানের অনুসারী। এ গ্রুপিংয়ের সূত্র ধরেই বাহাউদ্দিন নাছিমের কর্মী সুমন কাজীর সঙ্গে সজিব সরদারের হাতাহাতি হয়। তিনি শাজাহান খানের মতাদর্শী হিসেবে পরিচিত। এর জের ধরেই শহরের পুরান বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মাদরীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে সোহাগ তালুকদার নামে এক অটোচালক গুলিবিদ্ধ হয়। আহত সোহাগ মাদারীপুর শহরের ফারুক সড়কের দেলোয়ার তালুকদারের ছেলে।
এ ছাড়াও শাজাহান খানের অনুসারী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার হাওলাদারসহ উভয়পক্ষের আরও আটজন আহত হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য। এ দুই নেতার মাঝে দীর্ঘদিন থেকেই রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরেই দুই নেতার অনুসারীরা বিভক্ত। বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী সুমন কাজী মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং শাজাহান খানের অনুসারী সজিব সরদার জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘গণ্ডগোল করছে সজিব সরদার ও সুমন কাজী। এরা দুইজন দুই গ্রুপের অনুসারী। এদের কারণেই অটোচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’
গুলিবিদ্ধ অটোচালক সোহাগ তালুকদার বলেন, ‘আমি রাস্তায় দাঁড়ানো ছিলাম। হঠাৎ করেই আমার গায়ে গুলি লাগে।’
এ ব্যাপারে দুই ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাদের মোবাইলে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি সালাহ উদ্দিন বলেন, দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঘটনা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন