সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সেই বিসিএস ক্যাডার মাহমুদা আক্তার হ্যাপীকে (৩১) পাঁচ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে উদ্ধারের পর বিভিন্ন প্রশ্ন সামনে আসছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।
কীভাবে হ্যাপীকে উদ্ধার করা হলো সে প্রশ্নে ওসি জানান, সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসা হ্যাপীকে গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সঙ্গে বেড়াতে আসা পর্যটকরা পুলিশকে বিষয়টি জানান। তার বান্ধবী সুমা খানম টেকনাফ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে নিখোঁজ হ্যাপীসহ ৭১ জনের একটি টিম সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যান। তারা কয়েকটি রিসোর্টে উঠেন।
এরপর রোববার সকালে হ্যাপী বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে রিসোর্ট থেকে বের হয়ে যান। বিকেল পর্যন্ত তিনি হোটেলে ফিরে না আসায় তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। এরপর তিনি মোবাইল ফোনে উত্তর দেন বন্ধুর সঙ্গে আছেন। কিন্তু এক ঘণ্টা পর তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপর এসআই সুদর্শনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকষ দল তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। সেই সূত্র ধরে নিখোঁজ নারী বিসিএস ক্যাডারের মোবাইল ফোনের লোকেশন কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে শনাক্ত করা হয়।
সঙ্গে সঙ্গে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে কক্সবাজার সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট সংলগ্ন একটি হোটেলের কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, হ্যাপীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত সমস্যা এবং বিসিএসের ফল মনের মতো না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। তাই নিজেকে আড়ালে রাখতে এই পথ বেছে নিয়েছেন। তাকে এখন পুলিশের অভিযানিক দলের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম শেষে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, উক্ত ঘটনার বিষয়টি জানার পর টেকনাফ থানা পুলিশ সদস্যরা নিখোঁজ নারীকে উদ্ধার করার জন্য অভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে। অভিযানিক টিমের পুলিশ সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে পাঁচ দিন পর এই নারী বিসিএস ক্যাডারকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
মন্তব্য করুন