‘যখন নামাজ আদায় করছিলাম, তখন গুলির বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলাম। এতটা ভয় পেয়েছিলাম বলার ভাষা নেই।’ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালবেলাকে কথাগুলো বলছিলেন কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালীর বাসিন্দা কবির আহমেদের স্ত্রী সুফাইরা।
থাইংখালীর আরেক বাসিন্দা সালাউদ্দিন কাদেরীর অভিজ্ঞতাও প্রায় একই। তার সঙ্গে কথা হলে কালবেলাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে গুলির বিকট শব্দে ঘুমাতে পারি না। ঘুম থেকে চমকে চমকে উঠতে হয়। আমরা তো সীমান্ত থেকে দূরে, সীমান্ত এলাকার মানুষের অবস্থা আরও ভয়ানক।’
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালীতে যখন মসজিদের মিনার থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসছিল ঠিক তখনই মুহুর্মুহু গুলির বিকট শব্দ আসতে থাকে। এতে সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরের থাইংখালীর সব বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙে যায়। গুলির বিকট শব্দে কাঁপতে থাকে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উখিয়ার থাইংখালীর রহমতেরবিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসে ১৩৭ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি। সেদিন সবচেয়ে বেশি গোলাগুলি হয়েছে সেখানে। গতকাল বুধবার গোলাগুলির শব্দ কম শুনতে পান স্থানীয়রা। কিন্তু ভোর না হতেই আজ গুলির বিকট শব্দে আবারও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রহমতেরবিল সীমান্ত থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়েও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে ৬৪ জন বিজিপি সদস্য। সেখানেও গতকাল গোলাগুলি হয়।
পালংখলী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড রহমতেরবিলের ইউপি সদস্য আলতাছ আহমেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি গোলাগুলি হয়েছে আমার এলাকায়। বুধবারও মাঝেমধ্যে গুলির শব্দ শোনা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গুলির বিকট শব্দে ঘুম ভেঙেছে। এলাকাবাসী খুবই ভয়ে আছে। সীমান্ত লাগোয়া ঘরগুলো থেকে কয়েকটি পরিবারে নারী ও শিশুরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
মন্তব্য করুন