রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাখিলা আক্তার পাখি (১৮) নামের এক যুবতীর মরদেহ রেখে পালিয়েছে স্বজনরা। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পাখি উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের তেলিগাতী গ্রামের কালাম মিয়া ওরফে কালুর মেয়ে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সুজাউদ্দিন সোহাগ জানান, মৃত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক নারী। মেয়েটির চাচি হয় বলে পরিচয় দেন ওই নারী। মেয়েটি মৃত শোনার পর তাকে আর দেখা যায়নি। পরে থানায় পুলিশকে খবর দেন তিনি।
মেয়েটির মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব নয়। তবে মেয়েটির ঘাড়ের পিছন দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গেলে নিহেতের পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। এ সময় স্থানীয়রা জানান, তারা শুনেছেন পাখির বাবা পাখিকে মেরেছে। তারা কেউ দেখেনি। তবে কেন মেরেছে? তা জানেন না তারা।
পাংশা মডেল থানার ওসি মজুমদার জানান, হাসপাতার থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য নিহতের বাড়ি পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন