এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রসুনের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। অপরদিকে পেঁয়াজের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ফুলবাড়ীর পাইকারি ও খুচরা সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের রসুনের দাম কমেছে। চায়না রসুন ২৪০ টাকা এবং দেশি রসুন ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগে চায়না রসুন ২৬০ টাকা কেজি দরে, আর দেশি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে করে কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। এদিকে দেশীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও খুচরা বাজারে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
পৌর বাজারে রসুন কিনতে আসা জীতেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, ‘গত সপ্তাহে ২৬০ টাকা কেজি দরে চায়না রসুন কিনেছেন। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) দাম কম হওয়ায় ২৪০ টাকা কেজি দরে দেড় কেজি রসুন কিনেছেন। এভাবে যদি সব নিত্যপণ্যের দাম কমে আসত তাহলে সবার জন্য খুব ভালো হতো।’
পৌর বাজারে খুচরা রসুন ও পেঁয়াজ বিক্রেতা হারুন উর রশীদ বলেন, ‘খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজার থেকে প্রকারভেদে ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা কেজিতে কিনে খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে আবার পরিবহন খরচ রয়েছে। আদমানি কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে দাম প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুচরা ও পাইকারি বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ অযৌক্তিকভাবে কোনো পণ্যের দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মধ্যেমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।