মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের আন্ধারমানিক ঘাট এলাকার ভাওরডাঙ্গী মৌজায় পদ্মাপাড়ে জেগে ওঠা চরে এখন সবুজের সমারোহ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন প্রকৃতির গালিচা। এ চরে বোরো ধানের চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। বর্তমানে বাড়ন্ত গাছে শীতল এক অনুভূতি দেয়।
জানা যায়, মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার মধ্য অন্যতম নদী ভাঙন কবলিত উপজেলা হরিরামপুর। প্রায় ৫০ দশক থেকে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নের ভূমিই আয়তনে কমেছে। ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়েই এ উপজেলার মানুষের বসবাস।
বর্ষার মৌসুমে পানি কমতে শুরু করলেই আস্তে আস্ত চর জাগতে শুরু করে। দিনে দিনে পদ্মার পানি কমতে কমতে এক সময় চরই হয়ে উঠে ক্ষেত। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকা থেকে বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীর দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য চর জেগে উঠে। উপজেলার সদরের প্রাণকেন্দ্র আন্ধারমানিক ট্রলার ঘাট এলাকায় নদীর বুকে চর জেগে ওঠায় দূর-দূরান্ত থেকে এখানে দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসেন। প্রতিদিন বিকেলেই ভিড় করে প্রকৃতিপ্রেমী বিভিন্ন বয়েসের নারী-পুরুষ।
এখানেই রোপণ করা হয়েছে ধান। ফলে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন আরও বিমোহিত রূপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হক বলেন, বর্ষার পানি চলে যেতেই ধীরে ধীরে এখানে চর জেগে উঠে। আমার জমিসহ অন্যান্যদের জমিও আছে। তাই কিছু বোরো ধান লাগাইলাম। দুই বছর আগে এখানে আরও বেশি জায়গাজুড়ে চর পড়ত। এখানকার উর্বরতা খুব ভালো। তাই জমিগুলো পতিত না রেখে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে জেগে ওঠা চরে ধানের আবাদ করা হয়েছে। আশা করি, ফলন ভালো হবে।
মন্তব্য করুন