মাঘের প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মানুষ। পাল্লা দিয়ে কুয়াশার সঙ্গে কমেছে তাপমাত্রা। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতরাতে কুয়াশা থাকলেও দিনের শুরুতে কুয়াশা কমে গেছে। সকাল ৮টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও কনকনে শীতে কষ্ট পাচ্ছে পুরো জেলার মানুষ। তবে শীত উপেক্ষা করে সকালে চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবীকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে।
শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে গেলেও শীতল বাতাস শরীরে হুল ফুটাচ্ছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে। যানবাহন চলাচল কমে গেছে। জরুরি প্রয়োজনে কিছু লোক চলাফেরা করছে। লোকজন বাড়িতে অবস্থান করছেন। রাস্তাঘাট হয়ে পড়েছে জনশূন্য।
টানা গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীতে খেটে খাওয়া ভ্যানচালক, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন মারাত্মক দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। কাজে যোগ দিতে না পারায় তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা তাদের। নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে বেশি ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক বিপ্লব চন্দ্র দাস জানান, রোববার সকাল সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘনকুয়াশা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থা আরও দু-একদিন থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন