রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ..... রাজিউন)। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক শিশুকন্যা রেখে গেছেন।
আ.লীগ নেতা আহসানুল হক পিন্টুর মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আ.লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বাদ মাগরিব টিকাপাড়া ঈদগাহ্ ময়দানে মরহুম আহসানুল হক পিন্টুর জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে টিকাপাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
জানাযা নামাজের পূর্বে বক্তৃতায় রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মরহুম আহসানুল হক পিন্টুকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এনেছিলাম। পরবর্তীতে সে রাজশাহী মহানগর আ.লীগের যুগ্মসম্পাদকের পদ পেয়ে খুব ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করছিল। সে অকালে চলে গেল। নেতৃত্বে তার অনেক দূরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি তার পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আমি সব সময় তার পরিবারের পাশে থাকবো।
জানাযা নামাজে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, মহানগর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সহসভাপতি ডা. তবিবুর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আজিজুল আলম বেন্টু, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন প্রমুখ।