মায়ের সঙ্গে পরকীয়া করে বিয়ে করায় চাচাকে খুন করেছে ভাতিজারা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহের শৈলকুপার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম লাল্টু (৩৫)।
নিহত লাল্টু কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের গ্যানো মণ্ডলের ছেলে ও ইতালি প্রবাসী লকাই মণ্ডলের চাচাত ভাই।
জানা যায়, কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের কওছার মোল্যার ছেলে লকাই মোল্যা দীর্ঘদিন ইতালিতে আছেন। এ সুযোগে লকাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে তার আপন চাচাত ভাই লাল্টু মোল্যা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সম্পর্কের জেরে এক বছর আগে লাল্টু লকাইয়ের স্ত্রীকে গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে লাল্টু ও লকাইয়ের স্ত্রী কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরে এসে স্বামী- স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করে। এ অবস্থায় লকাই দুই মাস আগে ইতালি থেকে বাড়ি এসে তার স্ত্রীকে ফিরে না পেয়ে সে দুই ছেলেকে বাড়ি রেখে আবার ইতালি চলে যান।
মাকে ফিরে না পেয়ে লাল্টুর ওপর ক্ষোভ জমে দুই সন্তানের। এ পরিস্থিতিতে লাল্টু বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাকুড়িয়াডাঙ্গা মাঠে এক মাছের ঘেরের কাছে পৌঁছালে লকাইয়ের দুই ছেলে মিরাজ (২২) ও মিমতাই (২৪) লাল্টুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাস জানান, পারিবারিক কলহে কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামে চাচাকে দুই ভাতিজা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে শুনেছি।
শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বে নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামে লাল্টু নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন