রাজশাহীর পুঠিয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভির নাম ভাঙিয়ে দ্বিতীয় দফায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়েছে এক ভুয়া সাংবাদিক।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া আদিবাসী পল্লী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বেলমারিয়া এলাকার আদিবাসী পল্লীতে তিন যুবক সাংবাদিক পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। আবারও গতকাল টাকা নেওয়ার উদ্দেশে আদিবাসী পল্লীতে ঢুকে তাদের কাছে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে। পাশাপাশি আদিবাসীদের প্রলোভন দেখায় দেশীয় চোলাই মদ বিক্রি করার লাইসেন্স করে দেওয়ার।
বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের খবর দেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের আটক করে জানতে চায় তারা কোথায় সাংবাদিকতা করে। এ সময় দুজন পালিয়ে গেলেও মো. বুলবুল খাঁনকে (৪২) আটক করে তারা।
পরে পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, মো. বুলবুল মাই টিভির সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন। এ সময় তার কাছ থেকে ভুয়া মাই টিভির আইডি কার্ড ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নরেন হাজদা বলেন, গত সপ্তাহে এসে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছে। আজ আবার এসেছে টাকা নিতে, টাকা না দিলে আমাকে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিবে বলে ভয় দেখায়।
আরেকজন ভুক্তভোগী রনজিৎ মাড্ডি বলেন, রাতের বেলা ওরা তিনজন এসে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। ওরা মদের লাইসেন্স করে দেবে বলে আমার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা চায়। আমরা গরিব মানুষ কীভাবে টাকা দিব। পরে আমি মেম্বারসহ স্থানীয় লোকদের জানাই।
নয়ন মুর্মু বলেন, তারা আমার ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। আমি ভয়ে ৫শ টাকা দিয়েছি। আমাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে আমি টাকা দেই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সান্টু ইসলাম বলেন, আমার কাছে ওই আদিবাসী পল্লীর কিছু লোকজন জানায় সাংবাদিক নাম করে কয়েকজন এসে টাকা নিয়ে গেছে। রাতে আবার শুনি কিছু সাংবাদিক এসে আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ সময় সন্দেহ হলে এলাকাবাসী ধরে তাদের আটক করে।
পুঠিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, বুলবুল খাঁন নামের এক ব্যক্তির কাছে একটি ভুয়া মাই টিভির কার্ড পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন