কুমিল্লায় বাঁধাকপি চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক জামিউর রহমান। সারা বছরই তিনি জমিতে নানা ধরনের শাকসবজির আবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে বাঁধাকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন। তার ১৫ শতক জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে বাঁধাকপি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। শুধু তিনি নন, এমন সফলতা পেয়েছেন অন্য কৃষকরাও।
সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের লামপুর গ্রামের জামিউর রহমান বলেন, আগাম জাতের কপি চাষ করেছি ১৫ শতক জমিতে। এখন পর্যন্ত ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। যদি কোনো রোগ, পোকামাকড় আক্রান্ত না করে তাহলে বেশ ভালো আয় করতে পারব।
প্রথমবারের মতো বাঁধাকপি চাষে সফলতা পাওয়ায় তিনি খুশি। আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই কপি চাষ করার কথা জানিয়েছেন জামিউর।
সরেজমিন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের কপি চাষে পানি দিতে এবং নিড়ানিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কপি চাষিরা। পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশকের পরিবর্তে নিমপাতার রস, হলুদ ও শ্যাম্পু মিশ্রিত পানি স্প্রে করছে কৃষকেরা।
তারা জানান, প্রতিটি বাঁধাকপির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়েছে। আগাম জাতের হাইব্রিড কপির মধ্যে মার্বেল, স্নোবল, হোয়াইট স্নোবল, নিঞ্জাসহ আরও অনেক জাতের কপির চারা লাগিয়েছেন তারা। এসব জাতের কপি ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বিক্রি উপযোগী হয়ে থাকে। এ আগাম জাতের কপি বাজারে চাহিদাও বেশি থাকে। এতে করে আশানুরূপ দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
চৌদ্দগ্রাম কাশিনগর ইউনিয়নের উত্তর যাত্রাপুর গ্রামের কপি চাষি আবদুল গফুর বলেন, আগাম জাতের হাইব্রিড কপির চারা লাগিয়েছি প্রায় ৪০ শতক জমিতে। জমিতে বেশি করে জৈবিক সার প্রয়োগ করেছি। এখন পর্যন্ত বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে। এ জমিতে কপি চাষে মোট খরচ হবে প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত যেভাবে আশানুরূপ ফলন হয়েছে তাতে আশা করি প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। এখানে আমার লাভ হবে প্রায় ৩ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, এবার শীতকালীন সবজিসহ কপির বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে। চাষিদের বিভিন্ন ধরনের কপির রোগ-পোকামাকড় সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে। কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন