রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ভোক্তা অধিকার নতুন কৌশলে কাজ করবে। এবার কোন উৎস্য থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঘটানো হচ্ছে তা অনুসন্ধান করবেন বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ফরিয়াপট্টিতে চালের আড়তে অভিযানকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
চালের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, চালের মূল্য বাড়ার পেছনে যারা ধানের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছে তারা মিথ্যা বলছে। নতুন মূল্যের ধানের চাল বাজারে আসতে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগবে। উত্তরবঙ্গের মিল মালিকরা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে চালের বাজার অস্থির করে তোলেন। যেখানেই দাম বেড়েছে সেখানেই আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
বরিশালের চালের বাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরিশালের আড়তদাররা উত্তরবঙ্গের মিল থেকে যে দরে চাল কিনেছেন সেই দরের সঙ্গে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করবেন। অথচ ট্রাক ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ না বাড়লেও বরিশালের আড়তে প্রতি কেজি চালের দামে ৪ টাকা ব্যবধান পাওয়া গেছে।
আগামীতে খোলা ভোজ্যতেল উঠিয়ে দিয়ে বোতল এবং প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বাজারজাত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যারেলে তেলের উৎপাদন, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ কিছুই থাকে না। ব্যারেলের তেলে ভিটামিন ‘এ’র অস্তিত্ব নেই। ভোক্তাকে গুণগত মানসম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ সয়াবিন খাওয়াতেই খোলা ভোজ্যতেল উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
অভিযানকালে চালের আড়তের পাশাপাশি তেলের আড়তের ক্রয় ও বিক্রয় রসিদ খতিয়ে দেখেন তিনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সকলের সমন্বয়ে ভোক্তা অধিকার সব সময় মাঠে থাকবে বলেও জানান তিনি।
অভিযান শেষে নগরীর ফরিয়াপট্টিতে বরিশালের চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।
এ সময় বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘরাই ও বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন