নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় তীব্র শীতের মধ্যেও লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে ১০-১২ বার লোডশেডিং হয়। এমন পরিস্থিতিতে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
এদিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ শেষ করতে চান কৃষকরা। ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীত ও লোডশেডিংয়ের ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবার বোরো আবাদ পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ২১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হাওর অঞ্চলে বোরো আবাদ শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে ১৬ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে।
উপজেলার সিধলী, পাচঁগাও, লেংগুরা ও নাজিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লোডশেডিং থাকায় জমিতে সেচ দিতে না পারায় চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে নষ্টের পথে বীজতলা। রোপণকৃত চারাও বেড়ে উঠছে না। ফলে কৃষকরা হতাশায় পড়েছে।
কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় ৬৬ হাজার ৬৬৫ জন চলমান গ্রাহক রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৯ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদনকেন্দ্র থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ২.৫ থেকে ৩ মেগাওয়াট করে।
কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে সেচপাম্প হচ্ছে একমাত্র ভরসা। লোডশেডিংয়ের ফলে জমিতে পানি সরবরাহ করতে এক ঘণ্টার জায়গায় সময় লাগছে দুই ঘণ্টা। আর সেইসঙ্গে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। অনেক সময় বারবার সেচপাম্প চালু করলে দেখা দেয় নানান সমস্যা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বোরো আবাদ প্রায় শেষের দিকে। এবারের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে কিছু সবজি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন