মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও সিরাজগঞ্জে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এর তিন ঘণ্টা যেতেই সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে ৯৭ শতাংশে দাঁড়ায়।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, রাতের তাপমাত্রা একটু বাড়বে। আগামীকাল বুধবার এ জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা আরও কমে যাবে। এদিকে হাঁড় কাঁপানো শীতে কাবু চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। শীতল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষ।
এদিকে, সকালে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে।
চুয়াডাঙ্গায় কাঠের স’মিলে কাজ করেন আরিফ। সকাল মিলে এসে কাজ করতে পারেননি। আরিফ বলেন, সকাল ১০টা বাজে। মিল চালু করতে পারলাম না। এতো ঠান্ডা, হাতে কাঠ ধরতে পারছি না।
ভ্যানচালক আফিল উদ্দিন বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। ঠান্ডায় ভ্যান চালাতে পারছি না। দিন মজুর মোশারফ বলেন, সকালে ধান হাটকাতে এসেছি। এতো ঠান্ডা ধানের জমিতে কাঁদায় নামতে পারছি না। এদিকে শীত আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে মঙ্গলবার জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
খড়কুঁটোর আগুনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে শীতার্ত মানুষ। খেটে খাওয়া কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা বেষি বিপাকে পড়েছেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির উদ্যোগে জেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন