বরগুনা আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ ছগীর হোসেনের ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা গ্রহণের পর বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
হামলার ঘটনায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে মামলা দায়েরের পর বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট তুলে নিয়ে বাস চলাচল শুরু হয়। এর আগে দুপুরে ছগীর হোসেন নিজেই বাদী হয়ে হামলাকারী তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে হামলার প্রতিবাদ সোমবার সকাল থেকে বরগুনার সঙ্গে দেশের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গত ২১ জানুয়ারি রাতে সদর উপজেলার খেজুতলা পৌর বাস টার্মিনালের জেলা বাস-মিনিবাস সমিতির কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বরগুনা থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই মামলার আসামিরা হলেন, বশির মৃধা, বায়জিদ ও জাদুমনি।
বরগুনা ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বাবলু কালবেলাকে জানান, বরগুনা পৌর বাসস্ট্যান্ডে সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেস্টুন লাগানোর সময় ছুটে গিয়ে তা বরগুনা বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি আলহাজ ছগীর হাওলাদারের ব্যক্তিগত জিপের উপরে পড়লে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সেক্রেটারি রাগের ওই শ্রমিককে থাপ্পড় মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরগুনা বাস মালিক সমিতির দীর্ঘদিনের সেক্রেটারি আলহাজ ছগীর হোসেনের ওপর স্ত্রী সন্তানের সামনে বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন শিপন জমাদ্দারের নেতৃত্বে জনৈক বশিরসহ আরও কয়েকজন হামলা করে ও অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্যরা ও শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।
বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন শিপনও ঘটনার একই বর্ণনা দেন।
এ ব্যাপারে বরগুনা থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বশির নামের একজনকে ১ নম্বর আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন