কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ব্যবহৃত কাঠের হাতলযুক্ত রক্তমাখা ধাঁরালো কুড়াল ও আসামির পরিহিত সাদার রঙের রক্তমাখা সোয়েটার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী পৌরসভার কবিরের ভিটা গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্রী সত্য চন্দ্র শীল (৫০), তার স্ত্রী লতা রানীকে (৪০) নৃশংসভাবে গলায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযানে নামে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে আসামি সীমান্তবর্তী এলাকা লোহাকুচি বর্ডার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। পরে পলাতক সত্য চন্দ্র শীলকে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন পলাশী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়াইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ৩টি ক্লু নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কাজ করছেন। এ বিষয়ে আইনগত তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের জেরে রোববার (২১ জানুয়ারি) ভোরে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তার ঘুমন্ত স্ত্রী লতা রাণী শীলকে কুড়াল দিয়ে ঘারে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত লতা রাণী শীলের পিতার বাড়ি চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মহাদেব পাট এলাকার শীলপাড়ী গ্রামে। নিহতের স্বামী সত্য চন্দ্র শীল নাগেশ্বরী পৌরসভার হেলিপোর্ট, কবিরের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা।
মন্তব্য করুন