নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মোংলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন শতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত এবং সহস্রাধিক মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার। তিনি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, মারধর, ভাংচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এলাকার সহিংস পরিস্থিতির অবসানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রোববার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক টুকু, উজুলকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, মিঠাখলী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, বাঁশখালী ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সোহেল, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকরাম ইজারাদার, রামপাল সদর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নাছির উদ্দিন, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, গৌরমম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব সরদার, সাবেক ইউপি সদস্য জুলহাস ইজারাদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনী বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা রক্তের খেলা শুরু করেছে। একের পর এক হামলা চালিয়ে কর্মী-সমর্থকদের রক্তাক্ত জখম করছেন, খুন করার হুমকি দিচ্ছে। যে কারণে অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ গত ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় প্রায় ৭০ একরের একটি চিংড়ী ঘের থেকে সব মাছ লুট করে নিয়েছে। পরে পুলিশ আসলে দুর্বৃত্তরা মাছ নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সেখানকার লোকজন প্রাণের ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। বরং বিভিন্ন স্থানে হামলাকারিরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
লিখিত বক্তব্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সহিংসতা বন্ধে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে এই পরিস্থিতির অবসানে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মন্তব্য করুন