মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ফেরিডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবির। ঘটনার তিন দিনেও তার সন্ধান মেলেনি। স্বজনরা বলছেন, সুযোগ ও ছুটির অভাবে দুই মাস বাড়ি যেতে পারেননি তিনি। ওই দিন দায়িত্ব শেষে মেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল হুমায়ুনের। কিন্তু তিনি কথা রাখতে পারেননি।এদিকে হুমায়ুনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি বিআইডাব্লিউটিসিতে ২০১১ সালে চাকরিতে যোগদান করেন।
হুমায়ুনের ছোট ভাই শাওন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ট্রলার নিয়ে ঘাটে গিয়ে ভাইকে খুঁজেছি। কয়েকটি ট্রাক উদ্ধার করা হলেও তার ভাইয়ের কোনো খোঁজ মেলেনি।
ফেরি রজনীগন্ধার স্টাফদের বরাত দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরিটি নদীতে নোঙর করেছিল। ফেরিতে সাতটি ছোট ও বড় দুটি ট্রাক ছিল। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার পর ফেরিটি ডুবে যেতে থাকে। এ সময় যানবাহনের চালক, সহকারী এবং ফেরিতে কর্মরত লোকজন দ্রুত নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের স্থানীয়রা এবং পরে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন