মাঘের শুরুতে পড়ছে হাড় কাঁপানো শীত। এরই মধ্যে নামল বৃষ্টি। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এবার নোয়াখালীতে বৃষ্টি ঝরেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শীতের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এদিকে বৃষ্টির ফলে দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু অবস্থা সবার। দিনেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়া কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। দুর্বিষহ দিন পার করছে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ। খুব প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
নোয়াখালী সদর উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ বলেন, গতকাল থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মধ্যরাত থেকেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই বললেই চলে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় আজ সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ বৃষ্টিপাত স্থায়ী থাকবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার ফলে শুক্রবার থেকে কুয়াশা কাটতে শুরু করবে। তবে বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা শিগগির কমবে না। শৈত্যপ্রবাহ আরও প্রায় দুই সপ্তাহ থাকার শঙ্কা রয়েছে। যদিও মাঝে দু-একদিনের জন্য কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নাও দেখা দিতে পারে। আর শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে আগামী ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে।
মন্তব্য করুন