দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাতক্ষীরা সিটি কলেজের এডহক কমিটি অবশেষে বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত পত্রে ওই কমিটি বাতিল করা হয়।
এর আগে সাতক্ষীরা-২ আসনের নবনির্বাচিত জাপার সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জান আশুর সুপারিশে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একই কলেজের রানিং অফিস সহকারী কবির হোসেন মিলনকে সভাপতি করে এডহক কমিটির অনুমোদন দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বুধবার অনলাইন ভার্সনে ও বৃহস্পতিবার প্রিন্ট ভার্সনে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা।
এদিকে কলেজের রানিং অফিস সহকারী ও জামায়াত নেতা কবির হোসেন মিলনকে সভাপতি করায় সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা। চাপা ক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা, ওই কলেজের শিক্ষক ও সুধীমহল।
পরে ওই কমিটি বাতিল করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের একাধিক শিক্ষক বলেন, আমাদের কলেজের রানিং অফিস সহকারী কবির হোসেন মিলনকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে শুনে আমরা অনেক দুঃখ পেয়েছিলাম। তবে আমরা সেগুলো প্রকাশ করতে পারছিলাম না। কারণ নতুন এমপি স্যার নিজে ওই কমিটির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। তবে আজ আমরা অনেক আনন্দিত যে ওই কমিটি বাতিল হয়েছে। আমাদের কলেজে অন্য যে কেউ সভাপতি হোক সেটি আমরা মেনে নেব এবং তার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করব।
কমিটি ঘোষণার পর আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি বলেছিলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত। সিটি কলেজ আমার ইউনিয়নের মধ্যে। কিন্তু আমরা যারা দলীয় নেতাকর্মী আছি আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা না করেই কলেজের অফিস সহকারী এবং জামায়াত নেতা মিলনকে কলেজের সভাপতি বানিয়েছেন নতুন এমপি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই যদি জামায়াত নেতাকে কলেজের সভাপতি বানানো হয়। তাহলে সামনের দিনগুলোতে কি হবে বুঝতে বাকি থাকে না।
তবে সাতক্ষীরা-২ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি আশরাফুজ্জামান আশু বলেছিলেন, কলেজের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সভাপতি বানিয়েছি।
মন্তব্য করুন