পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডান্ডাবেড়ি নিয়ে বাবর জানাজা নামাজ পড়া ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আ.লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২৭ দিন কারাভোগের পর বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্তি পান। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাজমুল মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের মোতালেব মৃধার ছেলে ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা বাজারে ইউনিয়ন আ.লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ২০ ডিসেম্বর নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার বাবা মোতালেব মৃধা মারা যান। বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে এবং বাবার জানাজা পড়তে ১৩ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর আইনজীবীর মাধ্যমে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন তার বড় ভাই রাসেল মৃধা। ওই দিন চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। এরপর দুপুর ১ টায় তিনি বাড়ি এসে পৌঁছালে মুক্তির সময় শেষ হওয়ার কারণে পূর্ব নির্ধারিত জানাযা নামাজের আগেই বাড়িতে বিশেষ জানাজা নামাজ পড়ানো হয়। এ সময় তিনি পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় ছিলেন। ওই অবস্থাতেই তিনি বাবার জানাজা নামাজ পড়েন। বাবার দাফন হওয়ার আগেই আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে বিকেল পাঁচটায় স্থানীয় সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসাহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ডান্ডাবেড়ি নিয়ে বাবার জানাজা অংশ নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়।
পরে পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক এস এম এরসাদুল আলম তার জামিন মুঞ্জুর করেন। জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছলে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নাজমুলের বড় ভাই রাসেল মৃধা বলেন, নাজমুল জামিনে মুক্তি পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন। বাড়িতে ফিরে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মন্তব্য করুন