বরগুনার তালতলী উপজেলার সাংবাদিক নাইম ইসলামের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা করেছেন এক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা। নাঈম ইসলাম দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও তালতলী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক মামলার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান জানান, গত ২৭ নভেম্বর কালবেলা অনলাইনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘অফিসকে সংসার বানিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তা!’ শিরোনামে ভিডিও সংবাদ প্রকাশ হয়। পরদিন ওই সংবাদ নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন বিবাদী। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বাদীর অভিযোগ, ভিডিওতে বিভিন্নজন বাজে মন্তব্য করে। এতে তার মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানালে বিবাদী তা অস্বীকার করেন। তখন আমতলী বিচারিক হাকিম আদালতে নালিশি অভিযোগ দেন বাদী। পরে বিচারিক হাকিমের নির্দেশে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নাঈম ইসলাম বলেন, পটুয়াখালী দুর্নীতি দমন কার্যালয়ে মোসা. খালেদা নামে স্থানীয় এক নারী তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দাখিল, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ইচ্ছেমতো টাকা আদায় এবং ভূমি অফিস দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন ওই ভূমি কর্মকর্তা। এ সময় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।