সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতে চা শ্রমিকরা

সিলেট জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা
সিলেট জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা

সিলেটের তারাপুর চা বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বকেয়া মজুরি প্রদানসহ ৭ দফা দাবিতে গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে এ কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।

এদিকে চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন চা শ্রমিকরা। তবে বাগান কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বৈঠকে বসা হয়। এ বৈঠকে উপস্থিত হননি তারাপুর বাগানের চা শ্রমিক আন্দোলন ও পঞ্চায়েত নেতারা।

জানা গেছে, সিলেটের তারাপুর চা বাগানের শ্রমিকদের দুই সপ্তাহ ধরে মজুরি বকেয়া পড়েছে। এ অবস্থায় কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। দুই সপ্তাহের মজুরিসহ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া এরিয়ার বিলের তৃতীয় দফার টাকাসহ সাত দফা দাবিতে শ্রমিকরা শনিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন।

শ্রমিকদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, দুই সপ্তাহের মজুরি প্রদান, এরিয়ার বিলের তৃতীয় দফার টাকা প্রদান, অবসরের টাকা প্রদান, প্রতি মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ভবিষ্য তহবিল) টাকা জমা দেওয়া, ঘরবাড়ি মেরামত করে দেওয়া, পানির সমস্যা সমাধান ও বাগানে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা।

বাগানের শ্রমিকরা জানান, দুই সপ্তাহ বেতন বন্ধ থাকায় তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। অনেকের বাড়িতে খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় পৌষসংক্রান্তিও পালন করতে পারেননি তারা।

তারাপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদির মেয়ে সোমা মোদি বলেন, বারবার আমাদের মজুরি বন্ধ করেন বাগান মালিকরা। তাই এবার আমরা কঠোর আন্দোলনের পথে যাচ্ছি। আজ (মঙ্গলবার) আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিলও করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে সোমবারের বৈঠকে তারা কেনো যাননি- এ বিষয়ে সোমা মোদি কিছু বলতে পারেননি।

চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা এ বিষয়ে বলেন, সমন্বয় করে সোমবার সন্ধ্যায় বাগানের মালিকপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের নিয়ে বৈঠক করতে চেয়েছিলাম। মালিকপক্ষ আসলেও আন্দোলনকারীরা আসেননি। ওই বৈঠকে ডেপুটি ডাইরেক্টরও (লেবার) উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আমরা বৈঠকে বসেও ফোনে বারবার যোগাযোগ করেছি, কিন্তু তারা আসেননি। ফলে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। আবারও আমরা তাদের নিয়ে বসার চেষ্টা করব। সমস্যা হলে এর সমাধানও আছে। কিন্তু বৈঠকে না বসলে তো আর সমাধান আসবে না।

তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী বলেন, নিশ্চয়ই কেউ তাদের উসকানি দিচ্ছে। তা নাহলে সমাধানের জন্য তাদের ডাকলেও তারা আসবে না কেনো। আর ডেপুটি ডাইরেক্টরের (লেবার) উপস্থিতিতে তারা না এসে অবজ্ঞা করা চা শ্রমিক আইনে অপরাধ। মালিকপক্ষ তো সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছেন, তাহলে আন্দোলনকারীরা বৈঠকে আসবেন না কেনো। এর দ্বারা স্পষ্ট- তাদের কেউ উসকানি দিচ্ছে। যাতে বাগানের ক্ষতি হয়, সর্বোপরি সিলেটের অর্থনীতির ক্ষতি হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চালককে হত্যা করে অটোরিকশার ব্যাটারি ছিনতাই

নারায়ণগঞ্জে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা 

মালয়েশিয়ায় বন্যায় ১,২২,০০০ লোক বাস্তুচ্যুত

হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের কিল-ঘুষি খেলেন আসাদুজ্জামান নূর

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এইচআর সামিট অনুষ্ঠিত

কলকাতার সেই হাসপাতালে কখনো চিকিৎসাই নেয়নি বাংলাদেশিরা

সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার পথে আটক ৪৭

‘দেশ সংস্কারে যতটুকু সময় দরকার ততটুকু দেওয়া হবে’

রাষ্ট্র মেরামত ছাড়া বিদায় নিলে এই প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে : প্রেস সচিব

কলকাতার ঘটনায় জামায়াতের কড়া প্রতিবাদ

১০

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে যাত্রী সংকট, স্থানীয়দের হুঁশিয়ারি

১১

এক বোনের মৃত্যুর কথা শুনে অপর বোনের মৃত্যু

১২

এবার সেই বাংলাদেশির থেকে আরও ১ লাখ কলা নেবেন জাস্টিন সান

১৩

সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে জিএমপি সনদ অর্জন করল রিমার্ক

১৪

বগুড়ায় যুবলীগ নেতা লাখিন গ্রেপ্তার

১৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের পথে হাঁটছে : ধর্ম উপদেষ্টা

১৬

ইঁদুরের গর্তে তাদের পিঠার স্বপ্ন

১৭

এক ম্যাচ রেখেই সিরিজ জয় জ্যোতিদের

১৮

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

১৯

পাগলা মসজিদে ৭ ঘণ্টায় পাওয়া গেল যত টাকা

২০
X