নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সরকারি প্রণোদনার সার বীজ পাওয়ায় সময়মতো বীজতলা তৈরি করে তীব্র শীতে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। পৌষের হিমেল হাওয়ায় বয়ে চলা কনকনে শীত উপেক্ষা করে কেন্দুয়ায় বোরো ধানের চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
এ অঞ্চলে সাধারণত আউশ, আমন, গম ও বোরো ধানের প্রচুর আবাদ হয়ে থাকে। নিচু জমিতে আগাম চাষ দিয়ে সেচের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন করা হয়। রবি মৌসুমে পৌষ-মাঘ দুই মাস বোরো ধান রোপণের উপযুক্ত সময়।
মোজাফফরপুর ইউনিয়নের জালিয়ার হাওর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে কাদাপানিতে বসে বোরো ধানের চারা ওঠাচ্ছেন সলিম উদ্দিন নামের এক কৃষক। পাশেই শ্রমিকরা ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার সর্বত্রই গত কয়েকদিন যাবৎ ঘন কুয়াশা ঘেরা বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও ট্রাক্টর চালিয়ে ক্ষেত তৈরি করে কৃষকরা বোরো ধান রোপণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে। মৌসুমের শুরুতেই উঁচু জমিতে সেচের মাধ্যমে আগাম চারা রোপণ করেছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, চলতি রবি মৌসুমে কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভায় ২০ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বীজতলা করা হয়েছে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। অধিক ফসল উৎপাদনে বোরো আবাদে কৃষকদের আরও উৎসাহী ও সহযোগিতার লক্ষে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ৯ হাজার ৩০০ জন কৃষককে ৯ হাজার ৩০০ বিঘা জমিতে চাষ করার জন্য বোরো হাইব্রিড ২ কেজি বীজ, উফশী জাতের জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সরকারি প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সরকারি প্রণোদনার বোরো বীজ ও সার ৯ হাজার ৩০০ জন কৃষককে দেওয়ায় বাজারে সার ও বীজ নিয়ে কোনো কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়নি। ফলে উপযুক্ত সময়ে বীজতলা তৈরিতে কৃষকদের কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোরো রোপণের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন