দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগী

দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : সংগৃহীত
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে গত এক সপ্তাহে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, যার অধিকাংশই শিশু।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সরজমিনে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, নিউমোনিয়ায়, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শিশুদের পাশপাশি এজমা ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীরাও ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৭ দিনে ৩০ জন শিশু ডায়রিয়া এবং ৬ জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন এবং এজমা ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ৬ জন প্রাপ্ত বয়স্ক রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বহির্বিভাগে সেবা দেওয়া চিকিৎসকরা জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন। এরমধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। অন্যদিকে, চিকিৎসা নিতে আসা প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। যেসব শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ তাদের ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে, বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে।

দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দেবীডুবা গ্রামের হুমায়ারা নামে ১৩ মাস বয়সী শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, ভর্তি করা হয়েছে মহিলা ওয়ার্ডে। হুমায়ারার মা আসমা বেগম বলেন, বাচ্চাটা কয়েকদিন ধরে পাতলা পায়খানা আর বমি করছিল। ডাক্তার দেখানোর পর ৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করলাম। এখন কিছুটা সুস্থ আছে, আজকে বাসায় নিয়ে যাব।

একই সমস্যা নিয়ে ৭ মাস বয়সী ছেলে সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে আসেন দেবীগঞ্জ কৃষি ফার্ম সংলগ্ন এলাকার মল্লিকা নামে এক গৃহবধূ। তিনি বলেন, গত ৩ দিন থেকে পাতলা পায়খানা ও বমি করছিল শিশুটি। ওষুধ খাইয়েও কাজ না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করলাম। ডাক্তার দেখেছেন, এখন হয়তো স্যালাইন দেবেন।

দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসিনুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ায় শিশুদের মধ্যে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। রোটা ভাইরাসের কারণে মূলত ডায়রিয়া হয়। ভাইরাসজনিত হওয়ায় সময়মতো চিকিৎসা করলে ৫/৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবে শিশু। এরইমধ্যে বেশ কিছু শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ ও স্যালাইন মজুদ রয়েছে। আমাদের চিকিৎসক ও নার্সরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েও আসামি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সিয়াম

মধ্যপ্রাচ্যে কত সেনা মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র?

ইমন হত্যা / আ.লীগের আরও ২ নেতা গ্রেপ্তার

ঢাকা মেডিকেলে অনেক লাশের মধ্যে পড়ে ছিল শহীদ রনির লাশ 

এমন বৃষ্টি আর কতদিন?

ইসরায়েলকে প্রতিশোধের রাস্তা দেখিয়ে দিলেন ট্রাম্প

মসজিদ টার্গেট করে চালানো হচ্ছে বিমান হামলা

আর এক জয় দূরে মেসির মায়ামি!

নির্যাতনের তথ্য চেয়ে আ.লীগের বিশেষ বার্তা

পূজায় বুড়িমারীতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৬ দিন

১০

প্রতি সপ্তাহে সহায়তা দেবে জুলাই ফাউন্ডেশন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

১১

আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি, সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে যমুনা গ্রুপ

১৩

জনবল নেবে স্যামসাং বয়সসীমা  ২১ থেকে ২৮ বছর 

১৪

বায়ুদূষণে শীর্ষে হ্যানয়, ঢাকার খবর কী

১৫

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

১৬

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

১৭

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

১৮

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

১৯

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় ৭ জনের মৃত্যু

২০
X