পৌষের কনকনে শীত আর শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাবনার আটঘরিয়ার জনজীবন। গত কয়েকদিন দিনে সূর্যের দেখা মিলছিল না। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কিছুটা সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়া বইছে, রাতে পড়ছে ঘন কুয়াশা। বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব।
শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রিতে ওঠানামা করেছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। লোকজন দিনের বেলায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। চা স্টলগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সর্দি-কাশি,শাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে।
চা দোকানি মাহাতাব জানান, অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে আজকে চার গুণ চা বিক্রি হচ্ছে।
আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, শীতের কারণে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ও ঘনকুয়াশার কারণে বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। কৃষি বিভাগের কর্মীরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন