রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ভাঙা বিদ্যুতের খুঁটি আর বৈদ্যুতিক তার ঝুলছে মাটি থেকে চার ফুট উপরে। চার বছর আগে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন হলেও এখনও লোহার পাইপ আর সিমেন্টের পিলারে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ঝুলে আছে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া রাতের আঁধারে চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি আছে, কারণ সড়ক থেকে ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তারের উচ্চতা ৪-৫ ফুট।
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার মজলিশপুর গ্রামের সরকারি পুকুরপাড় সংলগ্ন সড়কের ওপরে দেখা মিলল ভাঙা এ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। খুঁটি ভেঙে ঝুলে থাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আছে বিপজ্জনকভাবে নিচু অবস্থায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার মজলিশপুর গ্রামের সরকারি পুকুরপাড় পয়েন্ট সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা সালাম মিয়ার বাড়ি থেকে আজাদ মিয়ার দোকান পর্যন্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা সনাতন ও দীর্ঘদিনের পুরনো। পুরনো লোহার খুঁটিতে লাইন থাকায় অনেক জায়গায় তার ঝুলে পড়েছে। এছাড়াও সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে ঝুলে থাকা অংশ স্থানীয়রা বেঁধে রেখেছেন গাছের সাথে।
স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ জানান, দুই বছর আগে সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা রশি দিয়ে খুঁটিটি গাছের সাথে টানা দিয়ে রেখেছি। খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বৈদ্যুতিক তারও নিচে নেমে যায়। আমরা অনেকদিন ধরে এই বিদ্যুতের তারও গাছপালার সাথে রশি দিয়ে টানা দিয়ে রেখেছি। বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানালে, তিনি ব্যবস্থা নেবেন বললেও অনেকদিন হলো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
হাসনাত মাসুম বলেন, আমাদের বাসার সামনের রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক তারগুলো ঝুলে আছে। একটি সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে যাওয়ার দুই বছর পার হলেও এটি মেরামত কিংবা প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি দিরাই বিদ্যুৎ অফিস। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাফেরা করে। তাছাড়া শিশুরাও এখানে খেলাধুলা করে। ভেঙে ঝুলে থাকা খুঁটিটাও যে কোনো সময় মাটিতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর দায়ভার কে নেবে? বিদ্যুৎ অফিসে জানানোর পরেও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বুঝতে পারছি না।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর পংকজ পুরকায়স্থ অমর বলেন, বিষয়টি আমি আবাসিক প্রকৌশলীকে জানিয়েছি- কিন্তু তিনি বলেছেন এখন কোনো বরাদ্দ নেই।
আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পরশুরাম তরফদার বলেন, পরের সপ্তাহে আমাদের লোক সেখানে যাবে। আমাদের দ্বারা সম্ভব কিনা অথবা কীভাবে করলে ভালো হয় এটা আমাদের লোক দেখবে। না দেখে কিছু বলতে পারব না। এটা একদিনে করাও সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমি আসার পর অনেক কাজ করিয়েছি। আপনারা আগে নিয়মিত বিদ্যুৎ পেতেন না। আমি নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করুন