সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এই দুই স্থানে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে চলেছে জেলার ওপর দিয়ে। তীব্র কুয়াশা আর উত্তরের হিম-শীতল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১২ থেকে ১টার মধ্যে সূর্য দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি।
এদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় শীত জেঁকে বসেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের এ জেলায়। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকছে চুয়াডাঙ্গার প্রকৃতি। তীব্র শীতে কষ্টে পড়ছে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ। কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা কাজে বের হতে হচ্ছে জীবন-জীবিকার তাগিদে। ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। তীব্র কুয়াশা আর শীতে শীতকালীন সবজিসহ উঠতি ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে।
সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠন জেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে। তবে, চাহিদার তুলনায় তা অপর্যাপ্ত।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার কম্বল জেলার চারটি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে ২ হাজার প্যাকেট।
শুক্রবার সকাল ৬টা ও ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন। এ সময় দৃষ্টি সীমা ছিল ৫০০ মিটারের মধ্যে। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এরপর আকাশে মেঘ দেখা দিতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর কুয়াশা কেটে গিয়ে আবহাওয়া পরিষ্কার হবে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন