দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে বোরোর বীজতলা। ঠান্ডা থেকে বীজতলা রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন কৃষকরা। অনেকে খড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। আবার অনেকে বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছেন। পৌষ মাসের শেষ দিকে এসে ফুলবাড়ী উপজেলায় শীত জেঁকে বসেছে। এরমধ্যেই উপজেলার কৃষকরা বীজতলা তৈরি ও রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে শীত ও ঘন কুয়াশায় উদ্বেগে দিন কাটছে বোরো চাষিদের। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহের বিরূপ আবহাওয়ায় বীজতলার ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। অনেক বীজতলার চারা বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষক চারা রক্ষায় রাতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন। সকালে রোদ উঠলে তা সরিয়ে ফেলছেন। উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাত ইউনিয়নে চলতি বছর প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্রি-২৯, ব্রি-২৮, কাটারীভোগ, স্থানীয় জাতের গুটি স্বর্ণাসহ বেশ কয়েক জাতের ধান আবাদ করা হবে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ৭৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। উপজেলার চকচকা গ্রামের আদর্শ কৃষক সাবেক অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, বোরো ধান আবাদের জন্য তৈরি বীজতলা সন্ধ্যার দিকে পলিথিনে ঢেকে দেওয়া হয়। এভাবে সারারাত কুয়াশা থেকে বীজতলার চারা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলে তেমন ক্ষতি হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, উপজেলার বোরো চাষিরা যখন বীজতলা তৈরি করেন তখন কুয়াশা ছিল না। এখন বীজতলার পাতা গজিয়ে গেছে। এ কারণে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। তবুও বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শীত ও কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া পদ্ধতিটি আধুনিক। এ পদ্ধতিতে বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা কম। বীজতলায় প্রতিদিনই অল্প অল্প করে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে গরম পানি দিতে হবে। তাহলে শীতে চারার তেমন ক্ষতি হবে না।
মন্তব্য করুন