তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে বগুড়ার শ্রমজীবীদের জনজীবন। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচলও কমেছে। বগুড়ায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি)। এ দিন সকালে জেলায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক গোলাম কিবরিয়া জানান, বগুড়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। ফলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, বগুড়ায় শুক্রবার রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এর ফলে জনজীবনের পাশাপাশি প্রাণিকূলের ভোগান্তি বেড়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল ছিল কম। যেসব যানবাহন চলাচল করেছে তাদেরও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
কনকনে শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর ও শ্রমিকদের কনকনে শীত উপেক্ষা করতে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়েছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকায় তীব্র শীতের মধ্যেই কৃষি জমিতে দিনমজুরের কাজ করছিলেন লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্যাটোত খিদে থাকলে শীতই কী আর গরমই কী? কাজ-কাম না করলে তো প্যাট চলবিনে।’ একই অবস্থা অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষের।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক গোলাম কিবরিয়া জানান, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে।
মন্তব্য করুন