পাবনার আটঘরিয়ার মাঠে মাঠে যতদূর চোখ যায় দেখা যায় শুধু সবুজ আর হলুদ রঙের গালিচা বিছানো।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের গ্রামগুলো সেজেছে আপন মহিমায়। এমন নয়নাভিরাম হলুদ সরিষা ফুলের দৃশ্য, ফুলের গন্ধ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর মৌমাছির গুঞ্জন মনকে বিমোহিত করে। আর হলুদ সরিষা ফুলে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক। এখন সরিষা গাছে ফুল ধরেছে, আর কিছুদিন পরেই আসবে ফল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলে কৃষক সরিয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন। বিগত বছরের তুলনামূলক এ বছর সরিষার আবাদ অনেক ভালো হয়েছে।
এবারে আবহাওয়া ভালো থাকায় জমিতে সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। অনেক সুন্দর আবাদ হয়েছে, ভালো ফলন হবে আশা করছেন কৃষকরা। তারা বলেন, সরিষা চাষ এখন লাভজনক হওয়ায় এলাকায় দিন দিন এ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকেরা বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ছয়-সাত মণ হারে সরিষা ঘরে তোলা যাবে। এ বছরের মতো আগামীতে ভালো দাম পাবেন বলে তাদের আশা।
ফলনশীল জাতের বারী-৯, ১১, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, বিনা-৪, টরি-৭ জাতের সরিষাসহ স্থানীয় জাতের সরিষার চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্জাতা জানান, উপজেলায় বন্যার পানি দ্রুত মাঠ থেকে পানি নেমে যায়। এ জন্য মাঠের মধ্যে জলাবদ্ধতা না থাকার কারণে অনেকেই সরিষা বীজ ফেলেছেন সুবিধাজনকভাবে। তাই এ বছর সরিষা আবাদ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। উপজেলায় এ বছর আট হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে চাষ হয়েছিল ছয় হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে উপজেলার চার হাজার ৫০০ কৃষককে সরিষা বীজ ও সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমণ হলে কী করণীয় সে বিষয়ে কৃষককে সচেতন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন