রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাজানো নির্বাচনে আর যাব না : তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ছবি : কালবেলা
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ছবি : কালবেলা

সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকার বনাম সরকার নির্বাচন হয়েছে। আমরা এই রকম সাজানো নির্বাচনে আর যাব না বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে তিনি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তার দলের এক নারী কর্মীর বাড়িতে হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন হইছে সরকার টু সরকার, নৌকা ও সরকারের, স্বতন্ত্র ও সরকারের। মনে হচ্ছে দেশটা একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে চলছে। তৃণমূল বিএনপি রাজপথে ছিল, রাজপথেই রাজনীতি করবে। আমরা আমাদের দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। সব ক্যান্ডিডেটকে ঢাকায় ডাকব, তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব।

নির্বাচন নিয়ে সারা দেশের সব প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকে দলীয়প্রধানের সঙ্গে বসবেন এবং পরবর্তীতে দলীয় বক্তব্য পেশ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তৈমূর।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসন (রূপগঞ্জ) থেকে দলীয় প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার। ওই আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। ফল অনুযায়ী, তৃতীয় হয়েছেন তৈমূর, হারিয়েছেন জামানতও।

ফল নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রূপগঞ্জে সব ভূমিদস্যুরা আমার বিরুদ্ধে একাট্টা ছিল। তারা মনে করছে, তৈমূর আলম খন্দকার এলে তাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। কারণ শুরু থেকেই আমি ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অবস্থানে ছিলাম। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যাদের জমিজমা নিয়ে গেল তারাও তো ভয়ে-আতঙ্কে আর আগাইয়া আসল না।

তৈমূর আরও বলেন, এই দেশে আমাদের প্রজন্মের পক্ষে সুষ্ঠু রাজনীতি করা সম্ভব না। আগামী প্রজন্মও পারবে না। যদি সম্ভব হয় তৃতীয় প্রজন্ম এসে দেশটাকে ঠিক করতে পারে। কারণ যারা সরকারে আছে তারা মনে করে, নির্বাচনে হেরে গেলেই তাদের জেলে যেতে হবে। বাংলাদেশে সিস্টেমই এইটা। যে ক্ষমতায় যায় তার প্রতিপক্ষকে জেলে দিয়ে দেয়।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা থাকে না বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, নির্বাচনটাকে যেভাবে কুক্ষিগত করা হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশনের ব্যাসিকালি কোনো ক্ষমতা নাই। তাদের কোনো জনবল নাই, তারা প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে। প্রশাসনও সরকারের আজ্ঞাবহ থাকে, কারণ সংবিধানের ৪৮ এর ‘গ’ ধারা অনুযায়ী এই দেশের একমাত্র ক্ষমতার মালিক প্রধানমন্ত্রী। সিইসির সচিবের বক্তব্য আপনারা শুনেছেন, তার বক্তব্যে কী মনে হয় দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে? তিনি তো বলছেন, ডিসিদের কাছে তো মেসেজ চলে গেছে। সিইসি থেকেই সব প্রকাশ পেয়ে গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

আজকের নামাজের সময়সূচি

শহীদ আমিনুলের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ইত্তেফাকুল উলামা

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

১০

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

১১

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

১২

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

১৩

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১৪

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১৫

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১৬

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১৭

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৮

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৯

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

২০
X