দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মামুন। নির্বাচনের দিনে ঘটে যাওয়া প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন- এতদিন কর্তাবাবুরা বললেন, এবার ভোটের দিন প্রশাসন আরবি অক্ষর আলিফের মতো সোজা ও নিরপেক্ষ থাকবে। আমরা আজ দেখলাম ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় একজন পুলিশ সদস্য ও লাঠি হাতে কয়েকজন আনসার ভিডিপি সদস্য। সেনাবাহিনী তো দুচোখে দেখলাম না। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিশ্চয় পিসাইডিং অফিসারের কাছে নিজের জীবনের চেয়ে ব্যালট পেপার দামি নয়। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স আসতে... আসতে... খেল খতম। এভাবে কেটে গেল আজ ভোটের দিনটা। এদিকে মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এদের বিজয় উল্লাস দেখে হাসি পাচ্ছে আফসোসও হচ্ছে।
এ নিয়ে, উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, নির্বাচনের দিনে আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক সাড়া পাইনি। নির্বাচনের মাঠে আমার চোখে আমি যা দেখেছি তাই বলেছি। সত্যিটা সবার কাছেই পরিষ্কার। সেদিন আমাদের অনেক কর্মীর গায়ে তারা আঘাত করেছে। অনেক নির্যাতন চালায় তারা। ভোটের দিন দুপুর ২টার পরে নিজেদের মতো করে ব্যালটে সিল মেরে নেয়। হাতীবান্ধায় আমরা প্রশাসনকে একাধিকবার বলেও কোনো সাড়া পাইনি। আমি স্বাধীন দেশে বাস করি, তাই আমি আমার ফেসবুকে আমার মত প্রকাশ করি।
পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা মিলে লালমনিরহাট-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা ৫ বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন। অপরদিকে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি আতাউর রহমান প্রধান। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের সমর্থক ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন।
এদিকে তার স্ট্যাটাসের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলছেন, নির্বাচন ঘিরে তাদের নিজেদের মধ্যে এখন জটলা লেগে গেছে।