দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালের ৬টি আসনে একজন এমপিসহ ২৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এজেন্ট বাণিজ্য করার নামে এসব অখ্যাত দল কিংবা স্বতন্ত্র ব্যক্তি ভোট এলেই প্রার্থী হন। সে কারণেই এসব প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। আসনগুলোতে মোট প্রার্থী ছিল ৩৫ জন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা যায়।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১১৭টি। এ আসনে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনই জামানাত হারিয়েছেন। এরা হচ্ছেন জাপার সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী (৪১২২ ভোট) এবং এনপিপির মো. তুহিন (১২১৮ ভোট)।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০৪। এ আসনে মোট ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৫ জন। এরা হচ্ছেন তৃণমূল বিএনপির মো. শাজাহান সিরাজ (১৭৮ ভোট), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস (১৪২১), জাপার ইকবাল হোসেন (৩৭৩), স্বতন্ত্র মনিরুল ইসলাম (২২২), এনপিপির সাহেব আলী (৫৭৩)।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে ৯৪ হাজার ৬৯৬ টি। এ আসনে ৬ প্রার্থীর মধ্যে জামানাত হারিয়েছেন ৪ জন। এরা হচ্ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির টিপু সুলতান (ভোট ১১৩২১), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আমিনুল হক (৬৪১১), মুক্তিজোটের আজমল হাসান জিহাদ (৯০৩) এবং তৃণমূল বিএনপির শাহানাজ হোসেন (১২৭ ভোট)।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৩। এখানে ৩ প্রার্থীর মধ্যে জামানাত হারিয়েছেন ২ জন। এরা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান (৭৬৭৫) এবং মুক্তিজোটের হৃদয় ইসলাম চুন্নু (ভোট ১৮৮৯)।
বরিশাল-৫ (সদর ও নগর) আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৪ টি। এ আসনে ৬ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৪ জন প্রার্থী কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট পাননি। যে কারণে সদর আসনে জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়েছে এনপিপির আব্দুল হান্নান সিকদার (২৫০ ভোট), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহাতাব হোসেন (২১৫ ভোট), মুক্তিজোটের মো. আসাদুজ্জামান (১৪৭ ভোট) এবং জাতীয় পার্টির মো. ইকবাল হোসেনের (২৮৬ ভোট)।
বরিশাল-৬ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬৬টি। এ আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে জামানাত হারিয়েছেন ৮ জন প্রার্থী। এরা হচ্ছেন সদ্য সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্না (ভোট ৯১৮৮), তৃণমূল বিএনপির টি এম জহিরুল হক তুহিন (১৭২), জাসদের মোহাম্মদ মহসীন (১৪৭), স্বতন্ত্র মো. কামরুল ইসলাম খান (২০০), স্বতন্ত্র জাকির খান সাগর (১২০), কংগ্রেসের মো. মাইনুল ইসলাম (১১৪), এনপিপির মো. মোশাররফ হোসেন (৪৮), স্বতন্ত্র মো. শাহাবাজ মিয়া (ভোট ২৯৪)।
মন্তব্য করুন