দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনে ২৭ জন এমপি প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী কাস্ট ভোটের এক-অষ্টমাংশ পেতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের জামানত হারান।
নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে মোট ৩৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এরমধ্যে চারজন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বাকি একজন জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
তবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আ.লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না, জাপা প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
একজন জাপা এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া, বহুল আলোচিত ও সমালোচিত প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পরাজিত প্রার্থীরা তাদের জামানত হারিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জানান, কাস্টিং ভোটের মধ্যে তারা পেয়েছেন মাত্র ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ জন ভোটারের মধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪ জন ভোট দিয়েছেন। এ আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। অন্য ৮ প্রার্থীর মধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া কাস্টিং ভোটের অষ্টমাংশ পেয়েছেন।
তৈমূর আলম খন্দকার এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ হাজার ১৯০ ভোট পাওয়ায় তার জামানত হারিয়েছেন। এখানে প্রায় ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ ভোটার।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু ছাড়া বাকি চার প্রার্থী তাদের জামানত হারান। এ আসনে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৭ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৫৮ জন ভোট দিয়েছেন।এখানে প্রায় ৫৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আটজন প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন জামানত হারিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৮টি কাস্টিং ভোটের মধ্যে পেয়েছেন মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট। নির্বাচনে হেরে যাওয়া জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট।
মোট ৩ লাখ ৪৫ হ আজার ৬৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এখানে প্রায় ৪৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ২ লাখ ১৬ হাজার ২৩০ জন ভোট দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান পেয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট। বাকি সাত প্রার্থী এখানে তাদের জামানত হারান।
এখানে প্রায় ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। জেলায় এটাই সবচেয়ে কম ভোটার।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জয়ী জাপা প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসমান ছাড়া বাকি ৩ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ ভোটারের মধ্যে মোট ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯ জন ভোট দিয়েছে। সেলিম ওসমান পেয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ২৮৯ ভোট।
এখানে প্রায় ৩৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান সর্বোচ্চ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেলেও সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে এই আসনে।
আর নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আরিফ পেয়েছেন সর্বনিম্ন ১৬৩ ভোট।
মন্তব্য করুন