দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন ও এর আগে পরে চাঁদপুর জেলায় যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসাসেবা দিতে প্রস্তুত প্রায় ৩০০ চিকিৎসা কেন্দ্র।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. এসএম সহিদ উল্লাহ্।
তিনি বলেন, ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনকেন্দ্রিক জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ চাঁদপুরের সব মিলিয়ে মোট তিন শতাধিক চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। তবে যে কোনো রোগীকে সরকারি হাসপাতালে রেফার করার ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। এমনকি ব্যবস্থাপত্রের সঙ্গে দায়িত্বরত চিকিৎসকের পূরণ করা রেফারেন্স ফরম যুক্ত করে রেফার করতে হবে।
এক তথ্যে দেখা যায়, চাঁদপুর জেলায় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার জন্য রয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ১টি জেনারেল হাসপাতাল, ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর ১টি, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ১টি, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ১টি, রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ১টি, রেলওয়ে হাসপাতাল ১টি, মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র ৭টি, চক্ষু হাসপাতাল ৪টিসহ শতাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ১শ এর মতো বেসরকারি হাসপাতাল ও বেশ কয়েকটি ডেন্টাল ক্লিনিক রয়েছে।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা নির্বাচনকালীন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। এর মধ্যে ৩টা কেবিন, ১০টা বেড, ওয়ান স্টপ সেন্টারে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ, ইমারজেন্সি মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত জ্বালানি ও অক্সিজেনসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, অপারেশন থিয়েটার সার্বক্ষণিক প্রস্তুতসহ আরও অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এমনকি ভোট দেয়া শেষে সকল চিকিৎসককে হাসপাতালে অবস্থানের নির্দেশনা দিয়েছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রুটিন কাজের অংশ হিসেবে বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোর পক্ষ থেকেও এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন