সাতক্ষীরার আশাশুনিতে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ঘনকুয়াশা আর শীতের প্রচণ্ড তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। দুপুরের দিকে কিছুটা দেখা গেলেও বিকেল হওয়ার আগেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে সূর্যের তাপমাত্রা।
এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ফলে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হাপানি, সর্দি-কাশি, এলার্জি, টনসিল ও চর্মরোগসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দুভাব। যার বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। শিশুদের মতো বয়স্করা শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হাপানি, সর্দি-কাশি, এলার্জি, টনসিলের প্রদাহে ভুগছেন বলেও চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে। ঠান্ডায় গরম কাপড় পরে শরীর গরম হওয়ার কারণে অনেক রোগী আসছেন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের চিকিৎসা নিতে। স্থানীয় ডাক্তাররা জানান, শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ ধরনের সমস্যায় বেশিরভাগ আক্রান্ত হয় শিশুরা। ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে শিশুদের সুরক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে খালি পায়ে না হাঁটা, বাইরে কম বের হওয়া, ঠান্ডা বাতাস না লাগানো, মোটরসাইকেল জাতীয় যানবাহন না চড়া, প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার না করা, বিশুদ্ধ হালকা উষ্ণ গরম পানি খাওয়া, গোসল করা, গরম কাপড় ব্যবহার করাসহ অপুষ্টিজনিত শিশুদের তাপযুক্ত স্থানে রাখার জন্য পরামর্শ দেন তারা।
এবিষয়ে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মিজানুল হক জানান- ঠান্ডাজনিত রোগের মাত্রা আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে। বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। সাধারণত এসময়মে শিশুদের সাবধানে রাখার জন্য অবিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানা নিয়ে ডা. মিজান আরও বলেন- ঠান্ডার কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বাড়িতে বসে থাকবেন না, যতদ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে আসবেন।
মন্তব্য করুন