লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ট্রেনটি সচল করতে পারছিলেন না প্রকৌশলী-টেকনিশিয়ানরা।
বুধবার (০৩ জানুয়ারি) রাত ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমূখী বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি (আপ ৭৮৭) যান্ত্রীক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় লাকসাম জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। যাত্রাবিরতি শেষে চালক বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও চালু করতে পারছিলেন না ট্রেনটি। এতে সাত শতাধিক যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। পরে রাত দশটায় ট্রেনটি সচল হলে দুই ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এ দিকে, রাত সোয়া আটটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর অভিমূখী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাকসাম জংশন স্টেশনে প্রবেশ করে। ইঞ্জিনের দিক পরিবর্তন করতে ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট সময় নেয়। তিন নম্বর প্লাট ফরমে প্রবেশ করানো হয় এ ট্রেনটিকে। এর আগে থেকেই দুই নম্বর প্লাটফরমে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা স্টেশনে নামতে ভোগান্তিতে পড়ে। এক নম্বর প্লাটফরম খালি থাকলেও অজ্ঞাত কারণে মেঘনা ট্রেনটি বিপরীত পাশে তিন নম্বর প্লাটফরমে যাত্রাবিরতি দেওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যাত্রীরা অভিযোগ তুলে জানান, তিন নম্বর প্লাটফরমের কয়েকটি দোকানের বিক্রি বাড়ানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে ট্রেনটি এক নম্বর প্লাটফরমে প্রবেশ করানো হয়নি।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ট্রেনটি সচল করতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে ইঞ্জিনিয়ার-টেকনেশিয়ানদের। রাত দশটায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
মন্তব্য করুন