দিনাজপুরের বিরামপুরে প্লাস্টিকের বস্তায় আদা চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন পৌর শহরের শিমুলতলী গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন। নিজের পরিত্যক্ত জমিতে আদা চাষ করে সাফল্য অর্জন করায় তার এই আদা চাষ পদ্ধতি দেখতে ছুটে আসছেন এলাকার অনেক কৃষক।
দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রথমে ইউটিউবের মাধ্যমে বস্তায় আদা চাষের ভিডিও দেখে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপসহকারী কর্মকর্তার পরামর্শে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হন তিনি। প্রথমে ছাই, জৈবসার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে বস্তায় রাখেন। পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশেই পরিত্যক্ত জমিতে মাটি ভরে গাছের টবের মতো তৈরি করেন। এরপর প্রতি বস্তায় দুটি করে আদার চারা রোপণ করেন। রোপণের মাত্র এক মাসের মধ্যে গাছ বড় হতে শুরু করে। এরপর মাত্র তিন মাসের মধ্যে গাছগুলোর গোড়ায় আদা ধরতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, এভাবে আদা চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পতিত জমিতে সীমিত খরচ আর অল্প শ্রম। একেকটি বস্তায় প্রায় তিন কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যায়। তাই এটি লাভজনক চাষ পদ্ধতি। আদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাঝেমধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাইরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। বস্তায় আদা চাষ দেখে স্থানীয় অনেকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ চাষ দেখতে অনেকে আসেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ বলেনু, সংবেদনশীল ফসল হওয়ায় আদা মূলত ছায়া ও দোআঁশ জাতীয় মাটিতে আবাদ করতে হয়। বস্তায় দোআঁশ মাটি ভর্তি করে আবাদ করলে দেখা যাচ্ছে এর ফলন ভালো হচ্ছে। মাটিতে একটি বীজ থেকে ২৫০ গ্রাম আর বস্তায় ১টি বীজ থেকে এক কেজি আদা পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া পরিচর্যা খরচ নাই বললেই চলে। শুধু আদা নয় মসলা জাতীয় ফসল ও সবজি চাষে উৎপাদন ভালো হবে।
মন্তব্য করুন