প্রশাসন তার পক্ষে রয়েছে বলে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি মোরশেদ আলম। তার এমন বক্তব্যের পর ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মানুষের ধারণা, প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটে জিততে চান মোরশেদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রশাসন তার পক্ষে আছে বলে দাবি করেন।
মোরশেদ আলম বলেন, প্রশাসন আমার পক্ষে নেই তা না; প্রশাসন আমার পক্ষে আছে। নোয়াখালী-২ আসনের চাঁদপুর খলিফা তোলা এলাকায় নৌকার একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ করার প্রেক্ষিতে তিনি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সেখানেই তিনি এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন। অথচ নির্বাচন কমিশন ভোটে প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে বারবার নির্দেশনা দিচ্ছে। কিন্তু মোরশেদ আলম প্রশাসনকে তার পক্ষে ব্যবহার করার পাঁয়তারা করছেন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে একই আসনের স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক কালবেলাকে বলেন, কোনো প্রার্থী যখন বলে প্রশাসন আমার পক্ষে আছে! এটা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় এ বিষয়ে শিগগিরই লিখিত অভিযোগ দেব।
এর আগে, গত বুধবার একই আসনের স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক তার লোকজনকে হয়রানির অভিযোগ এনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। মানিক অভিযোগ করে বলেন, জনসমর্থন এবং মানুষের গণজোয়ার তৈরি হওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নতুন নতুন নাটক সাজাচ্ছেন এমপি মোরশেদ আলম।
নোয়াখালী-২ আসনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ আলম (নৌকা), স্বতন্ত্র মোহা. আতাউর রহমান ভূঁইয়া (কাঁচি), জাসদের নাইমুল আহসান (মশাল), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন (ছড়ি), জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামান (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার আলম (হাতঘড়ি)।
মন্তব্য করুন