শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়নের মিনগ্রামে বিনা উসকানিতে আবারো হামলা চালিয়েছে নৌকা প্রতীকের ক্যাডার বাহিনী। ভোটের মাঠ উত্তপ্ত করতে ও বড় ধরনের অঘটন ঘটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়রথ থামাতে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৪ ডিসেম্বর মিনগ্রাম বাজারে নৌকা প্রতীকের সমর্থক রাসেল, মানিক, নিমাই, আতিয়ার মোতাহার, বিপুল, শিমুল, নাজমুল, মাসুদ, রাজিবসহ ১২/১৩ জন অতর্কিত মিনগ্রাম বাজারে হামলা চালিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সমর্থক আফান শেখ, টুটুল মীর ও রবিউল ইসলামকে লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এরই ধারাবাহিকতায় পোস্টার লাগাতে বাধা, প্রচার মাইক ভাঙচুরসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে নৌকার ক্যাডার বাহিনী। অবশেষে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আবারো মিনগ্রামে হামলা চালিয়ে তিনজনকে গুরুতর আহত করে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আবাইরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মীনগ্রাম বিশ্বাসপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের ট্রাক প্রতীকের মিছিল বের করে মীনগ্রামের সামাজিক মাতব্বর মহিদ মোল্লার লোকজন। মিছিল শেষে মীনগ্রাম বিশ্বাসপাড়া আমিরুলের চায়ের দোকানে বসে তারা চা খাচ্ছিল। এসময় বর্তমান এমপি নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের কর্মী সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করে। নৌকার মিছিলটি পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ওই চায়ের দোকানে পৌঁছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা করলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের ৩ সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষে গুরুত্বর আহতরা হলেন, মীনগ্রামের সামাজিক মতব্বর মহিদ মোল্লার লোক ও ট্রাক প্রতীকের কর্মী বিল্লু (৩২), আমিরুল মোল্লা (৪৩) ও মনির জর্দার (৩৫)।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মীনগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের আটকে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পরে অপ্রীতিকর ঘটনা বন্ধে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে গেছে।
মন্তব্য করুন