বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় দুধল ইউনিয়নের সতরাজ বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দুধল ইউনিয়নের সতরাজ, দক্ষিণ দুধল, দত্তারাবাদ, কবিরাজ, চাটরা, সরশী গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে উপজেলা শহরে আসা-যাওয়া করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সতরাজ বাজারসহ ৭ গ্রামের একমাত্র সংযোগ সেতুটির মাঝখানের লোহার পিলার ভেঙে একদিকে হেলে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন।
বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে দক্ষিণ দুধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুধল ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, ডি কে পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল স্কুল, দত্তারাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাটরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সতরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
অনেকে আহত হয়েছেন বলেও জানান গেছে। অথচ সেতুটি ভেঙে ছয় বছর পার হলেও সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই তেমন উদ্যোগ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই রাতের আঁধারে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চালক পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়াও হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসতে না পারায় রোগীদের চিকিৎসায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এই ভাঙাচোরা সেতুটি যে কোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে দুধল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ খান উজ্জল বলেন, সেতুটি প্রায় ছয় বছর আগে মাঝখান থেকে ভেঙে ডেবে গেছে। সেতুটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত নতুন করে নির্মাণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে অনেক চেষ্টা করেও এখনো পর্যন্ত কোনো সুফল হয়নি। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছি সেতুটি সংস্কার করার জন্য।
উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, সরেজমিনে গিয়ে সেতুর বর্তমান পরিস্থিতি দেখেছি। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন