‘আ.লীগ থেকে খেয়েছি গায়েবি মামলা, বিএনপি থেকে পেলাম গায়েবি বহিষ্কার’- এভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এক নেতা।
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে বিএনপির সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. শোকরানা ও অন্য প্রার্থীদের পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করার অভিযোগে বিএনপির ৯ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতজন এবং শুক্রবার দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন, উপজেলা বিত্রনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হায়দার রুমি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মতিউর রহমান মতিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান, পৌর বিএনপির সদস্য সোহেল সরকার, পৌর বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নিপুল, পৌর বিএনপি শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান আলী ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মুশফিকুর রহমান মদন।
সারিয়াকান্দি পৌর বিএনপির সভাপতি সাহাদৎ হোসেন সনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটি বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত।
এদিকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা সোহেল সরকার বলেন, দল ও সংগঠনবিরোধী কোনো কাজে আমি জড়িত নই। তারপরও আমার বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। যা দুঃখজনক।
বহিষ্কৃত আরেক নেতা সাইফুল ইসলাম নিপুল পত্রিকায় ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, বিনা কারণে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরম সৌভাগ্য আমার, আ.লীগ থেকে খেয়েছি গায়েবি মামলা আর বিএনপি থেকে পেলাম গায়েবি বহিষ্কার।
সারিয়াকান্দি পৌর বিএনপির সভাপতি সাহাদৎ হোসেন সনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না। যাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় নির্দেশনা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন